শতবর্ষের বেশি অসহায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন আটপাড়ার গৃদ্দান টেঙ্গার এক বৃদ্ধা। এমন খবর প্রচারিত হয় স্থানীয় গণমাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে খবরটি জানতে পারেন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, নেত্রকোনা জেলা শখার দায়িত্বরত নেতৃবৃন্দ। গেলো বুধবার সকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে বৃদ্ধার বাড়িতে উপস্থিত হন সংগঠনটির জেলা শখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ খাইরুল ইসলাম, সহ সভাপতি ফারজানা ইয়াসমিন , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজীর আমিন রিংকু, দপ্তর সম্পাদক জাবির আহমেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদনান হুসাইন বাকির, এছাড়াও তখন উপস্তিত ছিলেন আটপাড়া উপজেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক আমির হামজা, সদস্য রাসেল আহমেদ রাজন সহ অনেকেই।
জানা যায়, ওই বৃদ্ধার(স্নেহলতা কর) ষাটোর্ধ্ব বয়সী এক মেয়েও( জ্যোতি রানী দত্ত) রয়েছে।
স্নেহলতা কর ৯৯ বছর বয়সী বৃদ্ধা মা ও তার একমাত্র বিধবা মেয়ে এভাবেই কষ্ট করে জীবন যাপন করে যাচ্ছেন। (নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থানার দুওজ ইউনিয়নের গৃদান টেংগা গ্রামের) স্নেহলতাকর ও তার বিধবা মেয়ে জ্যোতি রানী দত্ত এই আধুনিকতার যুগে এক অসহায়ত্বের জীবন যাপন করছেন।
(স্নেহলতাকর ৯৯) ও তার বিধবা মেয়ে (জ্বোতী দত্ত ৬৫) ভিটেবাড়ি না থাকায় থাকতে হচ্ছে অন্যের বাড়িতে। সাধ্যের সীমাবদ্ধতায় থাকতে হচ্ছে, খড় কুটির চালা ঘরে।
প্রসঙ্গত,স্নেহলতা কর ৩ বছর আগে গ্রামের পাড়ায়,পান বিক্রি করে কোনমতে সংসার চালাতেন। তিনি বার্ধক্য ও বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পরে আর ঘররে বাহিরে দুনিয়া তার কাছে শুধুই স্বপ্ন। পারছেন না আগের মতো কোন কাজে নিজেকে যুক্ত করতে, থমকে যায় তার পরিবার। এসময় খাবার জোগাড় করতেই তার নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, ভুগছেন বিভিন্ন অসুখে নেই কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থাও।
এসয় স্হানীয় ইউপি সদস্যের সাথে সরাসরি কথা বললে উনি জানান যে আমার কাছে না আসলে আমি কেমনে দিবো।
ইউপি সদস্য জানান, তিনি ২২ টি কম্বল পেয়েছেন, (স্নেহলতারকরের ৯৯) শীতবস্ত্র কোথায়, তিনি বলেন সময়ের জন্য নিয়ে যেতে পারেননি। এসময়, ইউপি চেয়ারম্যানকে মুটো ফোন কল দিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, বর্তমান সরকার এবছর ৭০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
৭০ হাজারের মধ্যে কী (স্নেহলতাকর ৯৯) পরেননা?
স্নেহলতারা আজ দলীয় না হওয়ায় আছেন স্নেহহীন। এমনটাই বলছেন স্থানীয় অনেকেই।
তারা বলছেন নিশ্চয়ই ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে সরকারি ঘরগুলো কোথায় দিবে এমন কোনো লিষ্ট ছিলো। কিন্তু কেন পেলো এই ঘর? তারা কি স্নেহ লতার চেয়েও অসহায়? এমন প্রশ্ন আজ জনমনে।
এই অসহায় পরিবারের পাশে কোন সরকারি দল, বা প্রশাসন না থকলেও সময়মতো পাশে দাড়িয়েছে ভিপি নুরুল হক নুরের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, নেত্রকোনা জেলা।
এনিয়ে জানতে চাইলে জেলার সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি কিছু করার জন্য কিন্তু আমাদের এ প্রচেষ্টা হয়তো উনার জন্য বেশিদিন চলবেনা। আমি নেত্রকোনা জেলার সকল শ্রেণি পেশার মানুষের নিকট অনুরোধ করব যেনো যেন উনার পাশে দাঁড়ায়৷