নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে নদীগর্ভে হয়ে গেছে কামারখালীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৫০ টির বেশি ঘরবাড়ি। রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে। সরকারি ভাবে উল্লেখযোগ্য কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমেই শেষ আশ্রয় রক্ষার যুদ্ধে নেমেছেন নদী তীরবর্তী এলাকাবাসী।
ভাঙ্গন কবলিত মানুষের এই সব দৃশ্য দেখে সমাজের বিওবান, নানা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে নদীভাঙ্গন নিয়ে বৃহস্পতিবারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রখর রোদ উপেক্ষা করে কামারখালী গ্রামের শত-শত আদিবাসী নারী-পুরুষ নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে নিজস্ব অর্থায়নে বস্তা কিনে এ কাজে অংশ গ্রহণ নিচ্ছেন অনেকেই।
কুল্লাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা ভাঙ্গন কবলিত মানুষের খোঁজ খবর নিচ্ছেন, এবং দুর্গাপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবকরা আর্থিক সহায়তা দিয়ে সহযোগিতা করছেন।
সময়ের বাতিঘর সেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিরিশিরি ওয়াইডব্লিউসিএ, মাষ্টার এপ্রিল বনোয়ারী ফাউন্ডেশন, কারিতাস ময়মনসিংহ, ডন বসকো কলেজ, সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল সহ বিভিন্ন সংগঠন স্বেচ্ছাশ্রমে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পযন্ত নদী ভাঙ্গন রোধে কাজে অংশ গ্রহণ নিচ্ছে।
নদী ভাঙ্গন কমিটির আহবায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক জানান,
নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ যতদিন পর্যন্ত না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এলাকার মানুষের কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।