সরকারের পক্ষ হতে নির্ধারিত মূল্যে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যে গত ১৩ ই মে লটারির মাধ্যমে তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছিল ৷ কিন্তু কৃষক তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে নির্বাচিত কৃষকদের তালিকা বাদ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
পুনরায় লটারীতে ৭শ ৭৩ জন প্রকৃত কৃষক নির্বাচিত করা হয়েছে। একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ৫ শ ৭৯ জন কৃষকের তালিকা তৈরি করে কৃষি বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ লটারীর উদ্বোধন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মইন উদ্দিন খন্দকার।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মইন উদ্দিন খন্দকার তার বক্তব্যে বলেন, ১ হাজার ৪০ টাকা মন দরে মোট ২ হাজার ৩ শ ১৭ মেট্রিকটন ধান প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। যদিও এ উপজেলায় ধান উৎপাদন হয়েছে ৮৯ হাজার ৭শ ৭৬ মেট্রিকটন। তিনি জানান, প্রতিজন কৃষকের কাছ থেকে ৩ মেট্রিকটন করে ধান ক্রয় করা যাবে ৷ এ লক্ষ্যে ৭ শ ৭৩ জন প্রকৃত কৃষক এ সুবিধা পাবেন ৷
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ শামছুদ্দিন আহম্মেদ তখন জানান, গত ১৩ মে কৃষক নির্বাচনী লটারীতে ২ হাজার ৩ শ ১৭ জন কৃষক নির্বাচন করা হয়েছিল। কিন্তু খাদ্য বিভাগের পরিদর্শক ওয়াহেদুর রহমান অনিয়ম দূর্নীতির আশ্রয়ে ওই তালিকা থেকে প্রকৃত কৃষকের নাম বাদ দিয়ে অবৈধ ভাবে ২ শতাধিক কৃষকের নাম অন্তভূক্ত করেন। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তার নিকট ধরা পড়লে ওই তালিকা বাদ দিয়ে নতুন তালিকা করা হয়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান, অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে ওই কর্মকর্তা কে খুলনায় শাস্তিমূলক ভাবে বদলি করা হয়েছে৷লটারি কালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ শামছুদ্দিন আহম্মেদ, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় মোহন দত্ত, উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল- ফারুক সানা ও নওপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ- আল সুমন, সহ গণমাধ্যম কর্মীরা।